Dr. Neem on Daraz
Victory Day

সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভয় পায়: ফখরুল


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২৩, ০৮:৫৩ পিএম
সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভয় পায়: ফখরুল

ঢাকাঃ সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভয় পায় বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১০টা আসনও পাবে না।

তিনি বলেন, আর কাল বিলম্ব না করে সংসদ বিলুপ্ত করুন। নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। নতুন একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করুন।

শনিবার (২২ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল। এসময় সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আগামী ২৭ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন তিনি।

বিএনপির তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ ভয় পায় বলে ক্ষমতা ছাড়তে চায় না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার নির্বাচনে ভয় পায়। আমরা নির্বাচন চাই এ মুহূর্তে, কিন্তু তোমাদের (আওয়ামী লীগ সরকার) অধীনে নয়। নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১৪ সালে ভোটই হয়নি, আর ২০১৮ সালে রাতে ভোট হয় গেছে। এবারের ভোটের আলামত ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে দেখেছি। বেচারা হিরো আলম, আমি খুব কষ্ট পেয়েছি, সে একটা আশা নিয়ে গিয়েছিল অন্তত তাকে ভোটটা করতে দেবে। এটার নাম যে আওয়ামী লীগ সেটা সে (হিরো আলম) বোঝতে পারেনি। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সেই দল যারা অন্য কাউকে সহ্য করতে পারে না। তারা মানুষের কথা বলাও সহ্য করতে পারে না, তাদের বিরুদ্ধে কেউ ভোট দিক সেটাও সহ্য করতে পারে না। তারা মনে করে এটা বাপের তালুকদারি, জমিদারি।

বিএনপি নির্বাচনে যেন অংশ নিতে না পারে সে জন্য সরকার একটার পর একটা মামলা দিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৪টি মিথ্যা মামলা দিয়েছে। বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে সাড়ে তিনশ মামলা আছে। কেন এতো মামলা দেন? কারণ তারা ভয় পায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিদেশিদের বলছেন, সংবিধানের অধীনে এবার খুব ভালো নির্বাচন হবে। আর এদিকে কী করছেন? বিএনপির যারা নির্বাচন করবে তাদের নামে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিচ্ছেন। যেন নির্বাচনের আগে মাঠে না থাকতে পারে।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ নতুন কৌশল নিয়েছে। সেই কৌশল কী? আমাদের সিনিয়র নেতা, যারা নির্বাচন করতে পারে, জনপ্রিয় নেতা, তাদের মামলাগুলোকে শেষ করে দ্রুত সাজা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাছান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহকে সাজা দিয়েছে। এই অপকৌশল দেশের মানুষ সহ্য করবে? এই সরকারের অধীনে কি নির্বাচনে যাওয়া যাবে? দেশের মানুষ কি নিরাপদ? তখন সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীরা না সূচক উত্তর দেন।

বিএনপির এ নেতা বলেন, বিচার-বহির্ভূত হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আমেরিকা র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কিন্তু এখনও তারা সেই কাজগুলো করে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক নেতাকে তুলে নিয়ে গেছে। ২৪ ঘণ্টা পর চোখে কালো কাপড় বেঁধে ফেলে রেখে যায়। লক্ষ্য একটা, ভয় দেখিয়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা।

ফখরুল বলেন, এবার দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া। সে জন্য শুধু বিএনপি নয়, ৩৬টি দল দাবি উত্থাপন করেছে। সব রাজনৈতিক দল বলতে শুরু করেছে, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি বলছে, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। চরমোনাই দল ইসলামী আন্দোলনও একই কথা।

যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানি, ছাত্রদলের সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।

সমাবেশে সঞ্চালনা করেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিলটন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের সাধারণ সাইফ মাহমুদ জুয়েল।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে